শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসুচীর প্রতিবেদন
স্থান: সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়, রাঙ্গনিয়া, চট্টগ্রাম।
তারিখ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রি. রোজ: বৃহস্পতিবার
সময়: ১২.০০ ঘটিকায় ।
আয়োজনে: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম ।
গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম কর্তৃক স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গনিয়া উপজেলার সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচীতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মুহাম্মদ ফারহান ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব চন্দন মহাজন, প্রধান শিক্ষক, সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়, রাঙ্গনিয়া, চট্টগ্রাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মূল বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ ফারহান ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগষ্টে শাহাদত বরণকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তারপর তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন, ছাত্রজীবনে অর্জিত জ্ঞান তার সমস্ত জীবনে কাজে দিবে তাই এইসময় নিয়মিত পড়াশুনা করা ,নিজেকে সুস্থ রাখা, নিজের জ্ঞানের পরিধিকে বাড়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন। এই আধুনিক বিশ্ব খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে তাই পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই । নিজেকে এখন থেকে সুস্থ-সবল রাখতে হবে। এর জন্য খাবারের নিরাপদতা ও অনিরাপদতা বিষয়গুলো বুঝতে হবে । এখন খাবারগুলোতে নানা রকমের রাসায়নিক উপাদান মিশ্রণ ঘটিয়ে মুখরোচক করে তুলছে যা আমারও নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে কষ্ট হয় কিন্তু এ সকল খাবার তৈরির প্রক্রিয়াগুলো দেখলে তোমরাও এই ধরনের খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে। তাই রাস্তার ধারে ও ফাস্ট ফুডের দোকানের খাবার গুলো থেকে নিজেদের সরিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, উন্নত দেশ গড়ার জন্য অবশ্যই আজকের শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। তিনি বলেন, সমাজে সবার উচিত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক নিয়মাবলি যথাযথভাবে মেনে চলা এতে করে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া লিফলেট গুলো না ফেলে দিয়ে বাসায় নিয়ে যত্নসহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রত্যেকে তাদের মাকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য নির্দেশনা দেন। এভাবে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সুস্থ- সবল ও উন্নতির সোপানে পর্দাপন করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য সভাপতি জনাব চন্দন মহাজন, প্রধান শিক্ষক, সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়, রাঙ্গনিয়া, চট্টগ্রাম। সভাপতি শুরুতে ১৪ ডিসেম্বরে শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবীদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগষ্টে শাহাদত বরণকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, আমি এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে আজ অনেক নতুন কিছু শিখতে পারলাম বিশেষ করে ফরমালিন ও খবরের কাগজের ব্যবহার সম্পর্কে। ব্যক্তিজীবনে আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের বিষয়গুলো মনের অজান্তে ব্যবহার করছি যা দিন শেষে আমাদের বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণ। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আমি বুঝতে পারলাম খাবারের নিরাপদতা কোন ছোট বিষয় নয় যা ধীরে ধীরে আমার সার্বিকভাবে ক্ষতিসাধন করছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বাইরের খাবারের প্রতি বেশি নির্ভর করে যার কারণে তাদের শারীরিক কাঠামোগত উন্নতি হয় না। এতে করে তাদের পড়াশুনায় সেই বিরুপ প্রভাব পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি প্রধান অতিথিসহ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান , এই ধরনের জনসচেতনতসমূলক কর্মসূচি আয়োজনের জন্য । তিনি উক্ত কর্মসূচি হতে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যা তিনি নিজ পরিবারের মানুষদের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশ্বস্ত করেন ।
সবশেষে নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব ফারহান ইসলাম উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ক বিভিন্ন পোস্টার ,লিফলেট , খাতা-কলম বিতরণ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS