নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রতিবেদন
গত ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম কর্তৃক চট্টগ্রাম কর্তৃক কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবীদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: মামুনর রশীদ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম এবং জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম। কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর।
প্রশিক্ষণের শুরুতে আগত খাদ্য প্রশিক্ষণার্থীদের পরিচয় পর্ব সম্পন্ন হয় । নিরাপদ খাদ্য অফিসার তার বক্তব্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকান্ড এবং নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন দিক নির্দেশনামূলক বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন। এরপর মূল আলোচনায় নিরাপদ খাদ্য অফিসার হোটেল-রেস্তারাঁ মনিটরিংকালে পরিলক্ষিত সমস্যাসমূহ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, খাদ্যের সংরক্ষণ, খাদ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সচেতনতা, পোড়াতেল সংরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন; এ ছাড়াও খাদ্য নিরাপদতা বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় স্লাইডের মাধ্যমে প্রদর্শন করেন এবং নিরাপদ খাদ্য আইন, 2013 এর বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন । উক্ত প্রশিক্ষণে খাদ্য ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব মতামত, অভিজ্ঞতা ও সমস্যা তুলে ধরেন; জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার তাদের মতামতগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি হোটেল-রেস্তোঁরার বিভিন্ন অনিয়মের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন এবং সকলকে হোটেল- রেস্তোরাঁ পরিচালনার ক্ষেত্রে আরো সচেতন হওয়ার তাগিদ দেন। তিনি তার বক্তব্যে নিজেদের পরিবার থেকেই নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উপর জোর দেন, নিজেরা যেখানে কাজ করেন সেখানেও নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলার কথা বলেন, তিনি আরো বলেন, খাদ্য অনিরাপদ হওয়ার কারণেই মানুষ বেশি অসুস্থ্য হয় এবং হাসপাতালে দিনদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরপর বক্তব্য রাখেন জনাব মো: মামুনর রশীদ,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম। তিনি বলেন,সবাইকে সবার জায়গা থেকে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তিকে এক সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। যেখানেই অনিয়ম দেখবে সাথে সাথে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন,বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর প্রধান কারণ অনিরাপদ খাদ্য। তাই খাদ্যে ভেজাল কোনভাবেই সহ্য করার মত নয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে তিনি আহ্বান জানান। সাবাই ব্যবসা করুক কিন্ত আইন মেনে। মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন কিছুই বরদাস্ত করা হবে না।
পরিশেষে তিনি সব খাদ্যকর্মীদের স্বত:স্ফূর্তভাবে খাদ্য নিরাপদতা বিষয়ক কর্মসূচি উপভোগ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS