শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসুচীর প্রতিবেদন
স্থান: দক্ষিণ ফতেয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
তারিখ: ১৪ মার্চ,২০২৪ খ্রি. রোজ: বৃহস্পতিবার
সময়: দুপুর- ১২:০০ ঘটিকায় ।
আয়োজনে: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম ।
অদ্য ১৪ মার্চ,২০২৪ খ্রি. তারিখে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ ফতেয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। এই মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মুহাম্মদ ফারহান ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব মেহেরুন্নেছা বেগম, প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ ফতেয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
সামগ্রিক কার্যক্রমঃ
১.উদ্বোধনী ও স্বাগত বক্তব্যঃ
অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব জনাব মেহেরুন্নেছা বেগম, প্রধান শিক্ষক, দক্ষিণ ফতেয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
শুরুতে ২৫ শে মার্চে গনহত্যার স্বাীকার সকল বীর শহীদ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ই আগষ্টে শাহাদত বরণকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করার পাশাপাশি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। আজকে আমরা নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে জানবো। এতদিন । আমারা খাবার খেয়ে আসছি কিন্তু অসচেতনভাবে । আজকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ তোমাদের জন্য রোজাতে কষ্ট করে শিক্ষা উপকরণ নিয়ে আসছে, খাবার নিয়ে আসেছে শুধুমাত্র তোমাদের সচেতন করতে । তাই তোমাদের উচিত তারঁ কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে আশেপাশে ছড়িয়ে দেওয়া। তিনি বলেন, সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাইলে পারিপার্শ্বিক জ্ঞান আরোহণ করতে হবে। তার জন্য আগে নিজেকে সুস্থ সবল রাখা কাম্য । এইজন্য বাইরের খাবার আগে পরিহার করা এবং পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার গ্রহণ করা এবং নিজ নিজ পরিবারকে এই ব্যাপারে আরো সচেতন করা। পরিবারে রান্নার কাজ যেহেতু মা করে থাকেন তাই একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদের পরিবারে মাকে এই খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ে মায়েদের জানানো উচিত বলে তিনি মনে করেন। তিনি তার বক্তব্যকে র্দীঘায়িত না করে সকল শিক্ষার্থীকে আজ হতে বাইরে খাবার পরিহার করা ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রত্যেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং উক্ত অনুষ্ঠানে আলোচিত বিষয়গুলোকে নিজ-নিজ পরিবারসহ আশে-পাশে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সকল শিক্ষার্থীকে এগিয়ে আসার নির্দেশ দেন।
২.মূল বক্তব্যঃ
উক্ত কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ ফারহান ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের গঠন ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করতে গিয়ে বলেন, এই ধরণের প্রোগ্রামগুলো আমাদের কর্তৃপক্ষের সচেতনতামুলক কার্যক্রমের অংশ। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন, ছাত্রজীবনে অর্জিত জ্ঞান তার সমস্ত জীবনে কাজে দিবে তাই এইসময় নিয়মিত পড়াশুনা করা ,নিজেকে সুস্থ রাখা, নিজের জ্ঞানের পরিধিকে বাড়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন। নিজেকে এখন থেকে সুস্থ-সবল রাখতে হবে। এর জন্য খাবারের নিরাপদতা ও অনিরাপদতা বিষয়গুলো বুঝতে হবে । এখন খাবারগুলোতে নানা রকমের রাসায়নিক উপাদান মিশ্রণ ঘটিয়ে মুখরোচক করে তুলছে যা আমারও নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখতে কষ্ট হয় কিন্তু এসকল খাবার তৈরির প্রক্রিয়াগুলো দেখলে তোমরাও এই ধরনের খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে। যা সত্যিকার অর্থে তোমাদের অসুস্থ করার প্রাথমিক চেষ্টা । তাই রাস্তার ধারে ও ফাস্ট ফুডের দোকানের খাবার গুলো থেকে নিজেদের সরিয়ে আনতে হবে । তিনি বলেন, উন্নত দেশ গড়ার জন্য অবশ্যই আজকের শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। তিনি বলেন, সমাজে সবার উচিত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক নিয়মাবলী যথাযথভাবে মেনে চলা এতে করে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব । তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া লিফলেট গুলো না ফেলে দিয়ে বাসায় নিয়ে যত্নসহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রত্যেকে তাদের মাকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য নির্দেশনা দেন। এভাবে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সুস্থ- সবল ও উন্নতির সোপানে পর্দাপন করতে সক্ষম হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস