শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসুচীর প্রতিবেদন
স্থান: গোমদন্ডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
তারিখ: ২৫ জুন, ২০২৫ খ্রি. রোজ: বুধবার
সময়: ১১.০০ ঘটিকায় ।
আয়োজনে: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম ।
গত ২৫ জুন, ২০২৫ খ্রি. রোজ: বুধবার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম কর্তৃক স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার গোমদন্ডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচীতে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব মুহাম্মদ ফারহান ইসলাম এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব নজির আহমদ, প্রধান শিক্ষক, গোমদন্ডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মূল বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা জনাব মুহাম্মদ ফারহান ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যের শুরুতে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সকল শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণে ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরেন। তিনি সকলকে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন যে , অনিরাপদ খাদ্যাভাস সকলকে ত্যাগ করতে হবে। স্ট্রিট ফুড, বার্গার ইত্যাদি ফ্যাট জাতীয় খাবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। এসকল খাবার অঙ্গ বিকলাঙ্গসহ শরীরের মারাত্বক ক্ষতি করতে পারে।নিরাপদ খাদ্য সকলের অধিকার। সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সকল দপ্তর এবং জনসাধারনকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বিভিন্ন বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকের অনিরাপদ খাদ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি উপস্থাপন করেন। জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার খাদ্য নিরাপদ রাখার পদ্ধতি, খাদ্য অনিরাপদ হওয়ার কারণসমূহ এবং অনিরাপদ খাদ্য গ্রহনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সমূহ আলোচনা করেন যা শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ফুচকা, পানিপুরি, বেলপুরি, ললিপপ, আইসক্রিম জাতীয় খাবার যা শিশুরা বেশী পছন্দ করে, ঐ জাতীয় খাবার শিশূদের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা তিনি আলোচনার মাধ্যমে সকলকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। সমাজে সবার উচিত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক নিয়মাবলী যথাযথভাবে মেনে চলা এতে করে দেশ ও জাতির সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব। তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া লিফলেট গুলো না ফেলে দিয়ে বাসায় নিয়ে যত্নসহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রত্যেকে তাদের মাকে এই বিষয়ে সচেতন করার জন্য নির্দেশনা দেন। এভাবে সবার সহযোগিতার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সুস্থ- সবল ও উন্নতির সোপানে পর্দাপন করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন সভাপতি জনাব নজির আহমদ, প্রধান শিক্ষক, গোমদন্ডি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম। সভাপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, আমি এই স্কুলের শিক্ষক হিসেবে আজ অনেক নতুন কিছু শিখতে পারলাম বিশেষ করে ফরমালিন ও খবরের কাগজের ব্যবহার সম্পর্কে। ব্যক্তিজীবনে আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরনের বিষয়গুলো মনের অজান্তে ব্যবহার করছি যা দিন শেষে আমাদের বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণ। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আমি বুঝতে পারলাম খাবারের নিরাপদতা কোন ছোট বিষয় নয় যা ধীরে ধীরে আমার সার্বিকভাবে ক্ষতিসাধন করছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বাইরের খাবারের প্রতি বেশি নির্ভর করে যার কারণে তাদের শারীরিক কাঠামোগত উন্নতি হয় না। এতে করে তাদের পড়াশুনায় সেই বিরুপ প্রভাব পড়তে দেখা যায়। এছাড়াও তিনি প্রধান অতিথিসহ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান , এই ধরনের জনসচেতনতসমূলক কর্মসূচি আয়োজনের জন্য । তিনি উক্ত কর্মসূচি হতে অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যা তিনি নিজ পরিবারের মানুষদের কাছে তুলে ধরবেন বলে আশ্বস্ত করেন ।
সবশেষে নিরাপদ খাদ্য অফিসার জনাব ফারহান ইসলাম উপস্থিত সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্যের নিরাপদতা বিষয়ক বিভিন্ন পোস্টার ,লিফলেট , খাতা-কলম বিতরণ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস